Header Ads

Header ADS

তেলে ভাজা । Easy Bangladeshi Food Recipe


তেলে ভাজা,তেলে ভাজা । Easy Bangladeshi Food Recipe,কড়া ভাজা,ডুবো তেলে ভাজতে হয় এমন খাবার গুলো যাতে খুব বেশি তেল শোষণ করতে না পারে তার কিছু টিপস,সঠিক তাপমাত্রায় তেলে ভাজার টিপস,ডুবো তেলে ভাজার টিপস,পোড়া তেলে ভাজা খাবার,রান্নায় সঠিক তেলের ব্যবহার,ভাজা পোড়া বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর  করনীয়
তেলে ভাজা


তেলে ভাজা -

ডুবো তেলে ভাজা  -


ডুবো তেলে ভাজা খাবার একদিকে সুস্বাদু অপরদিকে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমরা প্রতিটি রান্নায় কম বেশী তেল ব্যবহার করি।বলা চলে তেল ছাড়া আমাদের কোন রান্না হয় না।আর এমন কিছু মজার খাবার যা ডুবো তেলে ভাজা হয় ।তেলে ভাজা খাবারের স্বাদই থাকে আলাদা।  বিকেলে চায়ের সাথে বা আড্ডায়  ডুবো তেলে ভাজা খাবার না হলে আমাদের একেবারেই চলে না।আর তেলে ভাজা খাবার গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

কড়া ভাজা -


আবার অনেকে ডুবো তেলে কড়া ভাজা খাবার গুলো বেশী পছন্দ করেন যা আমাদের শরীরের জন্য আরও বেশী ক্ষতিকর। ডুবো তেলে কড়া ভাজা খাবার গুলো বেশী তেল শোষণ করেডুবো তেলে ভাজা বা কড়া ভাজা খাবার যদি আলাদা ভাবে রান্না করা হয় তবে একটু হলেও তেল শোষণ কম হবে

ডুবো তেলে ভাজতে হয় এমন খাবার গুলো যাতে খুব বেশি তেল শোষণ করতে না পারে তার কিছু  টিপস -

সঠিক তাপমাত্রায় তেলে ভাজার টিপস -


সঠিক তাপমাত্রায় তেলে ভাজুন - খাবার তেলে যদি বেশি সময় ধরে রান্না করেন তবে তা থেকে সব পানি জলীয় বাষ্পে রুপান্তরিত হবে এবং খাদ্যে তেল শোষণ করতে শুরু করবে।ডুবো তেলে ভাজার জন্য ৩২৫-৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট যথেষ্ট। তাই সঠিক তাপমাত্রায় তেলে ভাজা জন্য প্রয়োজনে কুকিং থার্মোমিটার ব্যবহার করতে পারেন।সঠিক তাপমাত্রা বোঝার জন্য তেলে একটু খাবার ছড়ে দিয়ে দেখুন যদি খাবারটি প্রথমে ডুবে পরে ভেসে উঠে এবং বুদ্বুদ উদ্গিরন শুরু করে তা হলে বুঝতে হবে তেল সঠিক ভাবে উত্তপ্ত হয়েছে। 

ডুবো তেলে ভাজার টিপস  -


খাবার রান্নার সঠিক তাপমাত্রা নির্ভর করে খাবারের প্রকার এবং এর পুরুত্বের উপর। তাই পিঁয়াজু, বেগুনি যাই তৈরি করুন পুরুত্ব ঠিক রাখবেন।
পিঁয়াজু,কাটলেট,পাকোড়া এ ধরণের খাবার তৈরিতে ময়দাই বেশি ব্যবহার হয়।আর  ময়দাতে থাকা গ্লুটেন  বেশি তেল শুষে নেয় । তাই ময়দার পরিবর্তে ব্যবহার করুন চালের গুঁড়ো।

পিঁয়াজু,কাটলেট,পাকোড়ার মিশ্রনে ব্যবহার  করুন বেকিং সোডা । বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে ভাজার সময়  গ্যাস বাবল তৈরি হয় , যার ফলে তেল শোষণ কম হয়।

ডুবো তেলে ভাজা বা কড়া ভাজা খাবার গুলো ভাজা শেষে  উঠাতে ছাকনি ব্যবহৃত করুন ।এতে বাড়তি তেল অনেকটা ঝরে পড়বে।

ডুবো তেলে ভাজার পর খাবার গুলো টিস্যু পেপারের উপর রাখুন । এতে খাবারের গায়ে লেগে থাকা ট্রান্স ফ্যাট অনেকটা চলে যাবে।

পোড়া তেলে ভাজা খাবার- 

পোড়া তেলে বারবার ব্যবহার স্বাস্হের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তাই তেলে কিছু  একবার  ভেজে নিয়ে রেখে দিয়ে পুনরায় আবার  ব্যবহার না করে একবার তেল ঢেলে তাতে একবারই ভাজার চেষ্টা করুন।

 
ডুবো তেলে ভাজা অনেক খাবার আছে যা তেলে না ভেজে ঘরে যদি ওভেন থাকে তবে সেই  খাবার গুলো  আপনি ওভেনে বেক করতে পারেন।স্বাদে কিছুটা তারতম্য হলেও ওভেনে বেক করলে তা অনেকটা স্বাস্থ্যকর হবে।
এছাড়াও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর মত রেসিপি গুলো তৈরির জন্য এয়ার  ফ্রায়ার ব্যবহার করে অনেকটা তেলের শোষণ কমানো যায়।

রান্নায় সঠিক তেলের ব্যবহার -

রান্নায় সঠিক তেলের ব্যবহার করা হলে রান্না করা খাবার অনেকটা স্বাস্হ্য সম্মত হয়।
ভেজিটেবল অয়েল - রান্নায় বিশেষ করে  ভাজার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভেজিটেবল অয়েল । কারণ এই তেল কোনো ফ্লেভার শোষণ বা  খাবারে নিজস্ব স্বাদ বা গন্ধ যোগ করে না। 

বাদাম তেল - ডিপ ফ্রাই করার জন্য বাদাম তেল বেশ উপযোগী। এই তেলে একটি খাবার ভাজার পর খাবারের স্বাদ তেলে প্রবেশ করে না তাই অন্য আরও খাবার সহজেই ভেজে নেওয়া যায়।

অলিভ অয়েল - অলিভ অয়েল খুব হালকা  হওয়ায় ডুবো তেলে মুচমুচে করে এতে কিছু ভাজা যায় না।সালাদে  অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিলে  স্বাদ বাড়ে । বেশি আঁচে এই তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। পাস্তা জাতীয় খাবারের জন্য এই তেল বেশি ভালো।

সরিষার তেল -  গন্ধ আর ফ্লেভারের জন্য কাঁচাও ছড়িয়ে দেওয়া যায় সরিষার তেল ।সরিষার তেল বেশি তাপ সহ্য করতে পারে।

তেলে ভাজা খাবারে  ক্ষতি -


ডুবো  তেলে ভাজা  বা কড়া ভাজা খাবার গুলো আমাদের স্বাস্হের জন্য খুবই ক্ষতিকর।ভাজা জাতীয় খাবার বেশী খেলে শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে শুুরু করে।এক সময় রক্তে ফ্যাটের পরিমান বেড়েে গিয়ে শরীরের একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করে।সেই সঙ্গে উচ্চরক্ত চাপ,ডায়াবেটিস,হার্ট অ্যাটাক,স্থুলতা ও ক্যান্সার এরমত জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে।তাই তেলে ভাজা  বা কড়া ভাজা খাবার গুলো যতটা সম্ভব না খাওয়ায় স্বাস্হের জন্য ভাল।

ভাজা পোড়া বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর  করনীয় -


ভাজা পোড়া বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার একদিকে যেমন পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে তেমনি মেদ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে।তাই তৈলাক্ত খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভাল।
তবু অনেক সময় অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া হয়।অনেক সময় ডুবো তেলে ভাজা  বা কড়া ভাজা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অস্বস্তি বোধ হয়।

ভাজা পোড়া বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ  করলে এমন পরিস্হিতিতে যা করতে পারেন -

কুসুম  গরম পানি পান করুন - কুসুম  গরম পানি পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, খাদ্য ভাল ভাবে হজম হয় ও পেটের সমস্যার সম্ভবনা কমে।

লেবু ও শসার রস সঙ্গে  মিশিয়ে পান করলে উপকার হয়।এছাড়াও লেবু ,কমলা লেবু,জাম্বুরা এ ধরনের সাইট্রাস ঘরনার ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি  থাকে।তাছাড়া এই  ফল গুলোতে থাকা অ্যাসিড তেল ও চর্বির নেতিবাচকক প্রভাব কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।

তেল-মশলাদার খাবার-দাবার খেলে অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। মিষ্টি জাতিয় খাবার খেলে এই অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। ফলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। তেলে ভাজা খাওয়ার পর শরীরের রক্তচাপ অনেকটাই কমে যায়। সেই সময় মিষ্টি খেলে রক্তচাপ দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়

অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার পর বসে বা না শুয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন।



1 comment:

  1. This is the best website for food reciepy.
    visit this site. www.google.com

    ReplyDelete

Powered by Blogger.